অঝপড়া গায়ে আজ একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান
অঝপড়া গায়ে আজ একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান
ফটোর ব্যাক্তি শ্রদ্ধেয় Md. Lutfur Rahaman স্যার
একজন সফল পুরুষ, একজন সফল শিক্ষক, একটা সফল প্রতিষ্টানের উদ্যোক্তা।
১৯৯৭-১৯৯৮ পর্যন্ত যারা বাঘের সড়ক এলাকা থেকে এসএসসি দিয়েছেন সবাই বারহাল আলী গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে,সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ে,বারহাল আলিম মাদ্রাসা কিংবা গাছবাড়ী মাদ্রাসায় পায়ে হেটে গিয়ে পড়তে হয়েছে এত দূর দূরান্তে গিয়ে আমার আব্বা সহ এলাকার অনেকের মুখ থেকে বরাবর কথা টা শুনেছি।
অঝপড়া গায়ে থেকে বেড়ে উঠা প্রদীপ জনাব লুৎফুর রহমান আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক
তিনি ৯৯ ইংরেজির আগে এলাকাবাসী কে নিয়ে বসেন যে আমাদের এলাকায় একটি মাধ্যমিক স্কুলের দরকার, এতে সবাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে মতামত করে জায়গার সংকট ছিলো তার জন্য খাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কতদিন পড়ানো হয়।
সেখান থেকে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে বাঘের সড়ক লাতু বটের তলের পাশে জায়গা নির্ধারণ করা হয় স্কুলের জন্য,সিনিয়রদের কাছে থেকে শোনা কথা ৭ জন ছাত্র দিয়ে শুরু করা হয় স্কুল যাত্রা, নামকরণ করা হয় বাঘের সড়ক উচ্চ বিদ্যালয়।
টিউনের বেড়ার স্কুল রুম, কলাপাতার বাতরুম আর সিনিয়র ভাইদের মাথার ঘাম,এলাকা বাসীর স্বপ্ন পরিশ্রমে ৭ জন থেকে বাড়তে শুরু করে আসতে আসতে শিক্ষার্থীরা।
তখন তরুণরা খুবই কম ছিলো, এসএসসি ইন্টারমিডিয়েট পাস হাতেগুনা১৫/১৬ হবে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগের কথা বলছি।
কোনো মতে ৪র্থ শ্রেণি ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করে ঝড়ে পড়ার সংখ্যা টাই অধিক ছিলো,ঝড়ে পড়ার প্রধান কারণ হলো কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকার জন্য ঝড়ে যেতো এলাকার অনেকেই।
আজকের বাঘের সড়ক এলাকায় প্রতিটি ঘরে ঘরে
এসএসসি, এইচএসসি,অনার্স,মাষ্টার্সের অধ্যায়ণরত ছাত্র আসেন, কিংবা এ পর্যন্ত সরকারি চাকরির দীর্ঘ লাইন চলে যাচ্ছে, প্রাইমারি শিক্ষক, মাধ্যমিকের শিক্ষক, বিমান বাহিনী,নৌবাহিবী,সেনাবাহিনী,পুলিশ, আনসার, ডাক্তার, সহ এনজিও কর্মী,উদ্যোক্তা আসেন।
সবাই বাঘের সড়ক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী, আজকে বিদ্যালয়ের সুনাম দিন দিন বাড়তেই আসে এ পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত এই স্কুল টির ভবণ ও অনেক সুন্দর হয়ে আসে,রিজাল্ট বরাবর এ প্লাস আসে জিএসসি,এসএসসি পরীক্ষায়।
অধ্যায়ণরত রানিং ছাত্র শুরু ৭ জন থেকে বর্তমানে ৭০০ জনের উপরে।
এই স্কুল না হলে হয়তো সবাই এ পর্যন্ত পড়তে পারতাম না,ধন্যবাদ স্যার আপনার নেক হায়াত কামনা করি।
লেখক: সাংবাদিক
আল-আমিন
প্রাক্তন ছাত্র
বাঘের সড়ক উচ্চ বিদ্যালয়
পোষ্টঃ MD LUKMAN HEKIM
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন